
গ্যাস সরবরাহে বাংলাদেশের সঙ্গে বড় চুক্তি সই করেছে যুক্তরাষ্ট্র
বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠান আর্জেন্ট এলএনজির সঙ্গে একটি নন-বাইন্ডিং চুক্তি সই করেছে, যার মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানটি প্রতি বছর ৫ মিলিয়ন মেট্রিক টন তরল প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) সরবরাহ করবে। এই চুক্তির বিষয়টি শুক্রবার (২৪ জানুয়ারি) আর্জেন্ট এলএনজি জানিয়ে দিয়েছে।
আর্জেন্ট এলএনজি বর্তমানে লুইজিয়ানায় বার্ষিক ২৫ মিলিয়ন টন এলএনজি উৎপাদন সক্ষমতার অবকাঠামো উন্নয়ন করছে, যা প্রতিষ্ঠানটির সরবরাহ ক্ষমতাকে আরো শক্তিশালী করবে।
এটি যুক্তরাষ্ট্রের গ্যাস সরবরাহের সবচেয়ে বড় চুক্তি হিসেবে পরিচিত, যা প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতা গ্রহণের পর সই হয়েছে। ট্রাম্প ক্ষমতা গ্রহণের পর ঘোষণা দিয়েছিলেন, তিনি দেশে জ্বালানির অনুসন্ধান বাড়াবেন এবং নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে মার্কিন জ্বালানি বিভাগ সেই দেশের সঙ্গে গ্যাস সরবরাহের লাইসেন্স স্থগিত রেখেছিল, যাদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি নেই। তবে ২০ জানুয়ারি, সোমবার ক্ষমতায় আসার পর তিনি এই স্থগিতাদেশ বাতিল করেন।
যুক্তরাষ্ট্র বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে বড় তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস সরবরাহকারী দেশ, এবং তারা ২০২৮ সালের মধ্যে সরবরাহের পরিমাণ দ্বিগুণ করার লক্ষ্য নিয়েছে। লুইজিয়ানার পোর্ট ফোরচনে আর্জেন্ট এলএনজির অবকাঠামো প্রস্তুত হলে তারা বাংলাদেশের পেট্রোবাংলার কাছে গ্যাসের কার্গো বিক্রি শুরু করবে।
বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরী রয়টার্সকে বলেন, “এই চুক্তি আমাদের গ্যাসের সরবরাহ নিশ্চিত করার পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আমাদের কৌশলগত সম্পর্ক আরও দৃঢ় করবে।”
বাংলাদেশ দীর্ঘদিন ধরে তার জ্বালানি চাহিদার সমাধান খুঁজছে এবং এ ক্ষেত্রে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাসের দিকে নজর দিচ্ছে। তবে ২০২২ সালে ইউক্রেনে রাশিয়ার আক্রমণের পর বিশ্বব্যাপী গ্যাসের দাম বেড়ে গেলে বাংলাদেশ কম দামে কয়লার দিকে আবারও ঝুঁকে পড়ে।