ইংরেজিকে যুক্তরাষ্ট্রের দাফতরিক ভাষা ঘোষণা করলেন ট্রাম্প

ইংরেজিকে যুক্তরাষ্ট্রের দাফতরিক ভাষা ঘোষণা করলেন ট্রাম্প

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইংরেজিকে দেশের অফিসিয়াল ভাষা হিসেবে ঘোষণা করেছেন। শনিবার একটি নির্বাহী আদেশে তিনি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, যা ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি নিউজে প্রকাশিত হয়।

এতে বলা হয়, ট্রাম্পের এই নতুন আদেশটি সাবেক প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটনের এক পূর্ববর্তী আদেশ বাতিল করেছে, যেখানে সরকারি এবং ফেডারেল অর্থায়নে চলা সংস্থাগুলোকে ইংরেজি না জানা ব্যক্তিদের ভাষাগত সহায়তা প্রদান করতে বাধ্য করা হয়েছিল।

নতুন নির্বাহী আদেশে ট্রাম্প উল্লেখ করেন যে, ইংরেজিকে দাফতরিক ভাষা হিসেবে গ্রহণ করা শুধু যোগাযোগ সহজ করবে না, বরং জাতীয় মূল্যবোধকে আরও শক্তিশালী করবে এবং একটি সুসংহত সমাজ গঠনে সহায়তা করবে।

এছাড়াও, তিনি বলেন, এই পদক্ষেপ নতুন আমেরিকান নাগরিকদের ইংরেজি ভাষা শিখতে ও গ্রহণ করতে উৎসাহিত করবে, যা তাদের জন্য নতুন সুযোগ সৃষ্টি করবে এবং আমেরিকান স্বপ্ন অর্জনে সাহায্য করবে।

নির্বাহী আদেশে আরও বলা হয়, “ইংরেজি ভাষা জানলে কেবল অর্থনৈতিক সুযোগই বৃদ্ধি পায় না, এটি নতুন অভিবাসীদের তাদের সম্প্রদায়ের সঙ্গে সম্পৃক্ত হতে, জাতির ঐতিহ্যে অংশ নিতে এবং সমাজে অবদান রাখতে সহায়তা করে।”

গত মাসে, ট্রাম্পের অভিষেকের পর কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই, নতুন প্রশাসন হোয়াইট হাউসের সরকারি ওয়েবসাইট থেকে স্প্যানিশ ভাষার সংস্করণ সরিয়ে দেয়, যা হিস্পানিক অধিকার সংস্থাগুলোর মধ্যে হতাশার সৃষ্টি করেছিল। তবে, হোয়াইট হাউস তখন জানিয়েছিল যে, তারা ওয়েবসাইটের স্প্যানিশ সংস্করণ পুনরায় চালু করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, যদিও শনিবার পর্যন্ত তা চালু হয়নি।

এই সিদ্ধান্তের পর, আমেরিকান ইংলিশ আইন প্রতিষ্ঠা সংগঠন ইউএস ইংলিশ জানিয়েছে যে, ইতোমধ্যেই ৩০টির বেশি অঙ্গরাজ্য ইংরেজিকে তাদের অফিসিয়াল ভাষা হিসেবে গ্রহণ করেছে।

মার্কিন সেন্সাস ব্যুরোর তথ্য অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রের ৩৪ কোটি বাসিন্দার মধ্যে প্রায় ৬ কোটি ৮০ লাখ মানুষ ইংরেজি ছাড়া অন্য ভাষায় কথা বলেন, যার মধ্যে ১৬০টিরও বেশি নেটিভ আমেরিকান ভাষা রয়েছে।

CATEGORIES
TAGS
Share This