
প্রবাসী আয়ের গুরুত্ব: ২০২৫ সালে বাংলাদেশের অর্থনীতির আহরণ
২০২৫ সালে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে প্রবাসী আয়ের গুরুত্ব আরও স্পষ্টভাবে প্রতিফলিত হয়েছে। এই বছর প্রবাসী আয় প্রায় ৩০.৩২ বিলিয়ন ডলার অতিক্রম করেছে, যা দেশের ইতিহাসে রেমিট্যান্স প্রবাহের এক নতুন মাইলফলক। বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বৃদ্ধিতে এই রেমিট্যান্স বড় ভূমিকা রাখছে—যার ফলে বাংলাদেশ চলমান অর্থনৈতিক চাপে কিছুটা স্বস্তি পাচ্ছে। রেমিট্যান্স কেবলমাত্র রিজার্ভ বৃদ্ধিতেই সহায়তা করছে না, বরং মুদ্রাস্ফীতির প্রভাব মোকাবিলা, আমদানি ব্যয় নির্বাহ ও ব্যাংকিং খাতে তারল্য বজায় রাখাতেও তা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।

সরকার প্রবাসীদের উৎসাহ দিতে রেমিট্যান্সের উপর ২.৫ শতাংশ নগদ প্রণোদনা দিয়ে যাচ্ছে। সেই সঙ্গে ব্যাংক ও মোবাইল ফিনান্সিয়াল সার্ভিসের (যেমনঃ bKash, Nagad) মাধ্যমে প্রবাসী আয় পাঠানোর পদ্ধতি সহজ এবং আকর্ষণীয় করে তোলা হয়েছে। ফলে হুন্ডির মতো অবৈধ চ্যানেলের ব্যবহার কমে গেছে এবং বৈধ চ্যানেলের মাধ্যমে রেমিট্যান্স প্রবাহ বৃদ্ধি পেয়েছে। নতুন করে চালু হওয়া প্রবাসী লাউঞ্জ সুবিধা ও দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ কার্যক্রমও প্রবাসী কর্মীদের মধ্যে ইতিবাচক মনোভাব তৈরি করছে।
রেমিট্যান্স শুধু ব্যক্তিগত ভোগব্যয়ে সীমাবদ্ধ না রেখে উন্নয়নমূলক খাতে বিনিয়োগে রূপান্তর করার প্রতি জোর দিচ্ছে অর্থনীতিবিদরা। বিশেষ করে, স্কিলড ও সেমি-স্কিলড কর্মী রপ্তানির মাধ্যমে রেমিট্যান্সের গুণগত মান বাড়ানোর প্রয়োজনীয়তা এখন অনেক বেশি। সার্বিকভাবে ২০২৫ সালে প্রবাসী আয় বাংলাদেশের অর্থনীতির চালিকা শক্তি হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে, যা দেশের অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা ও ভবিষ্যৎ প্রবৃদ্ধির জন্য এক গুরুত্বপূর্ণ ভিত্তি তৈরি করছে।