
পাল্টাপাল্টি শুল্কারোপে উত্তপ্ত বিশ্ব অর্থনীতি
পূর্বঘোষিত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্র এখন কানাডা ও মেক্সিকোর ওপর ২৫ শতাংশ শুল্কারোপ কার্যকর করেছে। এর পাশাপাশি, এক মাসেরও কম সময়ে আবারও চীনের ওপর ১০ শতাংশ শুল্কারোপ আরোপ করেছে ওয়াশিংটন। এর ফলস্বরূপ, এই দেশগুলো পাল্টা শুল্কারোপ ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে, ফলে বিশ্ব অর্থনীতি এখন উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে।
বিশ্লেষকদের মতে, ট্রাম্প শুল্কারোপের মাধ্যমে বাণিজ্য অংশীদারদের চাপের মধ্যে ফেলতে চাইলেও এতে বিশ্ব অর্থনীতির ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। যদিও যুক্তরাষ্ট্র দেশীয় উৎপাদন বাড়ানো এবং নতুন কর্মসংস্থান তৈরির কথা বলছে, তবে এই সিদ্ধান্ত যুক্তরাষ্ট্রকেই ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে। এর মাধ্যমে বিশ্ব অর্থনীতিতে একটি নতুন মেরুকরণ সৃষ্টি হতে পারে, এবং নতুন বাজারও উদ্ভূত হতে পারে।
সাপ্লাই চেইন বিশেষজ্ঞ ক্যামেরন জনসন বলছেন, পাল্টাপাল্টি শুল্কারোপের ফলে বিশ্ব বাণিজ্যে এক নতুন মেরুকরণ তৈরি হচ্ছে। ইউরোপীয় দেশগুলো চীন, জাপান, অস্ট্রেলিয়ার মতো মার্কিন মিত্রদের দিকে ঝুঁকছে, আর চীনও তাদের বাজারে সুযোগ সৃষ্টি করে এই দেশগুলোর দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। সবচেয়ে বড় বিষয় হলো, বিশ্ব বাণিজ্য আর আগের মতো নেই।
বিশ্লেষকদের ধারণা, এ ধরনের সিদ্ধান্তের ফলে যুক্তরাষ্ট্রে আবারও মূল্যস্ফীতি দেখা দিতে পারে। ক্যামেরন জনসন আরও বলেন, আমরা এখন বাণিজ্য যুদ্ধের মধ্য দিয়ে যাচ্ছি, এবং যুক্তরাষ্ট্র তার শুল্কনীতি ব্যবহার করে দরকষাকষি করছে, বিশেষত মিত্র দেশগুলোর সঙ্গে। কারণ, ওয়াশিংটন মনে করে যে এই দেশগুলোর কারণে তারা পিছিয়ে পড়ছে।
কানাডা ও মেক্সিকো যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ দুটি বাণিজ্যিক অংশীদার হিসেবে পরিচিত, এবং দেশটির মোট বাণিজ্যের ৩০ শতাংশই এই দুই দেশের সঙ্গে হয়। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, এই বাণিজ্যের পরিমাণ প্রায় ১.৬ ট্রিলিয়ন ডলার। অন্যদিকে, কৃষিজাত পণ্য রফতানিতে যুক্তরাষ্ট্র চীনের ওপর ব্যাপকভাবে নির্ভরশীল।