
শিক্ষার্থীর স্বার্থে আপসহীন থাকার অঙ্গীকার ফরহাদের
ডাকসু নির্বাচনে জিএস (সাধারণ সম্পাদক) পদে প্রার্থী এস.এম. ফরহাদ তাঁর প্রথম প্রতিক্রিয়ায় শিক্ষার্থীদের স্বার্থকে অগ্রাধিকার দেওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন। তিনি বলেন, “এই নির্বাচন কেবল পদ দখলের লড়াই নয়, এটি শিক্ষার্থীদের অধিকার, নিরাপত্তা ও সম্মানের প্রশ্ন। আমি প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি, জিতলে প্রতিটি শিক্ষার্থীই নিজের প্রতিনিধিত্ব অনুভব করবেন।”ফরহাদ জানান, তাঁর মূল লক্ষ্য হবে ক্যাম্পাসে একটি নিরাপদ, অংশগ্রহণমূলক ও সহনশীল পরিবেশ নিশ্চিত করা। এর জন্য নারী শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা, গেস্টরুম-গণরুম সংস্কৃতি বন্ধ, মানসম্মত স্বাস্থ্যসেবা, সুলভ ও নিরাপদ খাদ্য, পর্যাপ্ত পরিবহন সুবিধা এবং শিক্ষাজীবন শেষে ক্যারিয়ার গঠনের সহায়তা—এই সবকিছুকে তিনি অগ্রাধিকার দেবেন।

তিনি বলেন আমরা এমন একটি ক্যাম্পাস চাই, যেখানে কেউ পোশাক, মতাদর্শ বা ধর্মীয় বিশ্বাসের কারণে হেনস্তার শিকার হবে না। ইসলামবিরোধী অপচেষ্টা ও দমনমূলক যে কোনো সংস্কৃতির বিরুদ্ধে আমি সোচ্চার থাকব।
তাঁর প্রার্থীতা নিয়ে হাইকোর্টে একটি রিট দায়ের করা হয়েছে, যেখানে তাঁর অতীত ছাত্রলীগ সংশ্লিষ্টতা এবং বর্তমান ইসলামী ঘরানাভিত্তিক প্যানেলে নির্বাচন করা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে। এ বিষয়ে ফরহাদ বলেন, বিষয়টি বিচারাধীন। আমি আদালতের সিদ্ধান্তের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তবে কোনো মহল যদি নির্বাচন ঠেকাতে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে আইনের অপব্যবহার করে, তাহলে শিক্ষার্থীরা তা মেনে নেবে না। প্রয়োজনে আমরা গণতান্ত্রিক উপায়ে প্রতিবাদে নামব।”
তিনি আরও বলেন, ডাকসু হলো শিক্ষার্থীদের মঞ্চ। এটি যেন কোনো গোষ্ঠীর ক্ষমতা চর্চার জায়গা না হয়, সে জন্যই আমি স্বচ্ছতা ও ন্যায়ের ভিত্তিতে নির্বাচন করতে চাই। শিক্ষার্থীদের প্রতিটি দাবি, ক্ষোভ ও স্বপ্নের জায়গায় ডাকসু থাকবে তাদের পাশে।
অন্যদিকে, নির্বাচনী মাঠে ইতোমধ্যে নানা বিতর্ক ও উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। বিশেষ করে ফরহাদের প্যানেল ও বিরোধী প্রার্থীদের মধ্যে মতবিরোধ, অভিযোগ ও পাল্টা-অভিযোগ চলমান। কিছু নারী প্রার্থীর প্রতি অনলাইনে হুমকির ঘটনায়ও প্রশাসনকে সতর্ক থাকতে হয়েছে।
এস.এম. ফরহাদ স্পষ্ট করে বলেছেন, “আমি সবধরনের হুমকি, সহিংসতা ও চরিত্রহননের রাজনীতির বিরুদ্ধে। যদি কেউ আমাদের প্যানেলের নামে এসব করে, আমি নিজেই তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা চাইব। আমরা ইতিবাচক ও কার্যকর রাজনীতি চাই।”
এই নির্বাচনের মাধ্যমে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বহুদিন পর আবারও তাদের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগের সুযোগ পাচ্ছেন। এস.এম. ফরহাদ মনে করেন, এটি কেবল একটি নির্বাচন নয়, এটি একটি পরিবর্তনের শুরু হতে পারে—যদি আমরা সবাই মিলে শিক্ষার্থীদের অধিকার ও মর্যাদা রক্ষায় আন্তরিক হই।