রোজা না রেখে প্রকাশ্যে খাওয়া-দাওয়া, ২৫ মুসলিম আটক

রোজা না রেখে প্রকাশ্যে খাওয়া-দাওয়া, ২৫ মুসলিম আটক

সারা বিশ্বের মুসলিমরা রোজা পালন করে ধর্মীয় গুরুত্ব ও ভাবগাম্ভীর্যের সঙ্গে। ইসলামিক ইবাদতের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি হল রোজা। যারা রোজা পালন করেন না, তাদের গ্রেপ্তার করছে পুলিশ।

এটি ঘটেছে আফ্রিকার দেশ নাইজেরিয়ায়। রোজা না রেখে প্রকাশ্যে খাওয়া-দাওয়া করলে, নাইজেরিয়ার পুলিশ তাদেরকে আটক করছে। কানো প্রদেশে রোজার মাসে দিনের বেলা খাবার খেতে দেখা যাওয়ার পর বেশ কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এই খবর প্রকাশ করেছে।এছাড়া খাবার বিক্রির দায়েও গ্রেপ্তার করা হয়েছে কয়েকজনকে।

বিবিসি অনুযায়ী, পবিত্র রমজান মাসে ভোর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত রোজা রাখার নির্দেশ রয়েছে, কিন্তু যেসব মুসলিম প্রকাশ্যে খাবার খাচ্ছিলেন বা পানীয় পান করছিলেন এবং রমজানের শুরুতে যারা খাবার বিক্রি করছিলেন, তাদের গ্রেপ্তার করেছে উত্তর নাইজেরিয়ার কানো প্রদেশের ইসলামিক পুলিশ।

হিসবাহের ডেপুটি কমান্ডার মুজাহিদ আমিনুদিন বিবিসিকে বলেন, “রোজা না রাখার জন্য ২০ জন এবং খাবার বিক্রির জন্য আরও পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, এবং এই অভিযান পুরো মাসব্যাপী চলবে।”

তিনি আরও বলেন, “এটি গুরুত্বপূর্ণ—আমরা অমুসলিমদের বিরুদ্ধে এমন কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছি না। রমজানকে অসম্মান করার কোনো কিছু আমরা সহ্য করব না।”

হিসবাহের কর্মকর্তা জানিয়েছেন, রোজা রাখা উচিত এমন একটি পবিত্র মাসে, প্রাপ্তবয়স্ক মুসলিমদের প্রকাশ্যে খাওয়া-দাওয়া করাটা অত্যন্ত দুঃখজনক। তাদের এসব আচরণ ক্ষমা করা হবে না এবং সেই জন্যই গ্রেপ্তার অভিযান চলছে।

গ্রেপ্তারকৃত ২৫ জনকে শরিয়াহ আদালতে আনা হয়েছে এবং যথাযথ শাস্তি প্রদান করা হবে।

মুজাহিদ আমিনুদিন আরও জানান, যখনই এমন ঘটনা ঘটে, গোপন সূত্র থেকে তারা জানায়, এবং পুলিশ দ্রুত সেই স্থানে গিয়ে গ্রেপ্তার করতে চেষ্টা করে।

এছাড়া, “অনুপযুক্তভাবে চুল কাটা” এবং হাঁটুর উপরে শর্টস পরা ব্যক্তিদেরও গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তিনি।

গত বছরও রোজা না রাখার জন্য মুসলিমদের গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। তবে, পরে তাদের রোজা রাখার প্রতিশ্রুতি নেওয়া হয়েছিল এবং মুক্তি দেওয়া হয়। এমনকি তাদের অভিভাবকদেরও রোজা রাখার প্রতি নজরদারি করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।

এ বছরের ক্ষেত্রে, গ্রেপ্তারকৃতদের আদালতে হাজির হতে হবে। প্রায় দুই দশক আগে, নাইজেরিয়ার উত্তরাঞ্চলের ১২টি প্রদেশে ধর্মনিরপেক্ষ আইনের পাশাপাশি শরিয়াহ আইন চালু করা হয়েছিল, যেখানে সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলিম জনসংখ্যা রয়েছে। তবে, এই অঞ্চলের খ্রিস্টান সংখ্যালঘুদের জন্য শরিয়াহ আইন প্রযোজ্য নয়।

CATEGORIES
TAGS
Share This