
দুই মাস পরও ফুল সেট বই পায়নি শিক্ষার্থীরা, কি বলছে এনসিটিবি
এ বছরের তৃতীয় মাস চলতে থাকলেও সিলেটের কাকরদিয়া তেরাদল উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের হাতে রয়েছে কেবল দুটি বই—বাংলা ও ইংরেজি। আর অষ্টম শ্রেণির ছাত্রদের মধ্যে কয়েকজন পেয়েছে তিনটি বই—বাংলা, ইংরেজি ও গণিত। শুধু সিলেট নয়, অনেক জেলার স্কুলে এখনো সব বই পৌঁছায়নি। এনসিটিবির তথ্য অনুযায়ী, ৪০ কোটি বইয়ের মধ্যে প্রায় ৫ কোটি বই এখনো স্কুলে পৌঁছায়নি, ফলে অনেক স্কুলে শিক্ষা কার্যক্রম চলছে জোড়াতালি দিয়ে।
কাকরদিয়া তেরাদল উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন, তারা পেয়েছে দুটি বই—একটি বাংলা ও অপরটি ইংরেজি। তারা আরও বলেন, মোবাইল এবং ল্যাপটপে সব সময় পিডিএফ পড়া সম্ভব নয়, কারণ চোখের সমস্যা হয় এবং অনেকের ঘরে ইন্টারনেট নেই। পিডিএফ থেকে পড়া সহজও নয়।
এক শিক্ষক জানিয়েছেন, অষ্টম ও নবম শ্রেণির বই এখনও তারা হাতে পাননি, যা শিক্ষার্থীদের জন্য বড় ক্ষতির কারণ হবে।
এদিকে, জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. একেএম রিয়াজুল হাসান দাবি করেছেন, অধিকাংশ ক্লাসের শিক্ষার্থীদের কাছে ৯০ শতাংশ বই পৌঁছে গেছে।
এনসিটিবি চেয়ারম্যান আরও বলেছেন, বইয়ের ছাপানো কাজ শেষ হয়ে গেলেও বাঁধাইয়ের কাজ শেষ করতে কিছুটা সময় লাগছে, এবং এই বিষয়ে ছাপাখানায় গিয়েও তিনি সেখানকার অবস্থা পরিদর্শন করেছেন।
ছাপাখানায় গিয়ে দেখা গেছে, ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির বইগুলো ছাপা হয়ে বাঁধাইয়ের জন্য স্তূপ আকারে রাখা হয়েছে। অটোমেটিক বাঁধাই মেশিনের সংকট এবং নোট বই বাঁধাইয়ে বেশি মজুরি পাওয়ার কারণে শ্রমিকরা পাঠ্যপুস্তকের কাজ করছেন না।
এছাড়া, মুদ্রণ শিল্প সমিতি জানিয়েছে, কিছু বইয়ের টেন্ডারে দেরি হওয়ায় ছাপানোর কাজ বিলম্বিত হচ্ছে। বাংলাদেশ মুদ্রণ শিল্প সমিতির সিনিয়র সহসভাপতি জুনায়েদ আল মাহফুজ বলেন, কিছু টেন্ডার শেষের দিকে হওয়ায় কিছু বই এখনও স্কুলে পৌঁছায়নি, তবে তারা আশা করছেন দ্রুত এই সমস্যার সমাধান হবে।