পাসপোর্টের পুলিশ ভেরিফিকেশন প্রক্রিয়ায় সুখবর

পাসপোর্টের পুলিশ ভেরিফিকেশন প্রক্রিয়ায় সুখবর

পাসপোর্ট, চাকরি এবং অন্যান্য সেবা পেতে গিয়ে পুলিশ ভেরিফিকেশনের কারণে নানা ভোগান্তির শিকার হচ্ছিলেন নাগরিকরা। অনেক সময় নির্দিষ্ট সেবা প্রদান করতে ঘুষ চাওয়ার অভিযোগও উঠেছে, যা আলোচনার জন্ম দিয়েছে। এ অবস্থা দূর করতে পুলিশ ভেরিফিকেশন প্রক্রিয়া সংশোধনের সুপারিশ সম্প্রতি উপদেষ্টা পরিষদের সভায় উঠেছে। এরপরই বিষয়টি নিয়ে কাজ শুরু করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগ।

জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রধান এবং সাবেক সচিব আবদুল মুয়ীদ চৌধুরী বলেন, “পাসপোর্ট পাওয়া নাগরিকের অধিকার, এবং এর জন্য পুলিশ ভেরিফিকেশন করা উচিত নয়। ইংল্যান্ডে আবেদন করলেই পোস্ট অফিসের মাধ্যমে পাসপোর্ট চলে আসে। প্রত্যেক নাগরিকের পাসপোর্ট পাওয়ার অধিকার রয়েছে।”

তিনি আরও বলেন, “পুলিশ ভেরিফিকেশনের নামে হয়রানি এবং দুর্নীতি বন্ধ করা অত্যন্ত জরুরি। প্রার্থীর বা তার পরিবারের রাজনৈতিক পরিচিতি যাচাই করা পুরোপুরি অযৌক্তিক। বর্তমানে এই ভেরিফিকেশন প্রক্রিয়া একটি বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে, এবং এটি বন্ধ করা প্রয়োজন।”

তিনি আরো জানান, কমিশন থেকে তারা সুপারিশ করেছেন যে চাকরি কিংবা অন্য কোনো সেবার ক্ষেত্রে পুলিশের ভেরিফিকেশন আর বাধ্যতামূলক না রাখা উচিত, এবং এটি পুরোপুরি বাতিল করা উচিত।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের একটি সূত্র জানায়, বর্তমানে সারাদেশে ১৬ হাজার পাসপোর্ট ইস্যু পুলিশ প্রতিবেদনের অপেক্ষায় রয়েছে। অনেক ক্ষেত্রেই এই প্রতিবেদন পেতে দীর্ঘ সময় লেগে যায়, ফলে জরুরি পাসপোর্টের জন্য অসুস্থতার কারণে কিংবা অন্যান্য কারণে দ্রুত বিদেশ যাওয়ার প্রয়োজন হলে নাগরিকরা বড় ধরনের ভোগান্তিতে পড়েন।

CATEGORIES
TAGS
Share This